Ad Code

Responsive Advertisement

একজিমা রোগ ( Eczema)

-:রোগ সম্পর্কে বিশ্লেষণ:-


 একজিমা বা ডার্মাটাইটিস বলতে বোঝায়, চামড়া বা ত্বকের উপরিভাগের প্রদাহজনিত, এপিডার্মিস আক্রান্ত হয়ে লালভাব, চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি হয়ে, তা শুকিয়ে শক্ত আবরণে ঢাকা পড়ে এবং শেষে তা আঁশের মতো দেখতে হয়ে যায় এবং জায়গাটা মোটা ও শক্ত হয়ে যায়।
 

ডার্মাটাইটিস হলেও চামড়ার উপর এই প্রদাহ ঘটে এবং এই লক্ষণগুলো দেখা যায় এর কারণে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা একে সমার্থক বলার পক্ষপাতী। তবে অধিকাংশই বরং বলা যায় প্রায় সকলে এই রোগটিকে একজিমা বলতেই অভ্যস্ত।

-: বিশেষ বিশেষ কারণ :-


মানবদেহের প্রায় সর্বত্র মাথা, মুখ, নাক, বুক, হাত, পা, আঙ্গুল, কনুই, হাটু ইত্যাদি যেকোনো স্থানেই হতে পারে। চিকিৎসার সুবিধার জন্য একজিমা বা ডার্মাটাইটিস বা চর্মের প্রদাহ কে দুই ভাগে ভাগ করে নেয়া হয়।
1) এন্ড্রোজেনাস 
2) এক্সোজেনাস
 যে সমস্ত একজিমা মানুষের দেহের আভ্যন্তরিণ কোন কারণে হয়ে থাকে, তাদের বলে এন্ডোজেনাস ডার্মাটাইটিস। আর যে সমস্ত একজিমার মূলে বাইরের কোনো কারণ জড়িত থাকে তাদের বলে এক্সোজেনাস  ডার্মাটাইটিস।


প্রথমটির ক্ষেত্রে খুব নিশ্চিত করে বলা মুশকিল এই যে, একজিমা একবারে সারিয়ে তোলা যায় কিনা। এব্যাপারে রোগের লক্ষণ, বয়স, বংশগত ইতিহাস, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি না দেখে বা না শুনে পুরোপুরি সেরে যাবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।


তবে আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাহায্যে রোগ নির্ণয় করে যদি তার মূল কারণ নষ্ট করে ফেলা যায়, তাহলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে এন্ডোজেনাস একজিমার ক্ষেত্রে বলা যায় এগুলি সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা প্রায় কঠিন, অসম্ভব বললেও অত্যুক্তি হয় না।

 -: বিশেষ বিশেষ লক্ষণ :-

 অসহ্য চুলকায়, সুড়সুড় করে, কখনো কুটকুট করে, চুলকাতে চুলকাতে চামড়া কেটে গিয়ে রক্তপাত হয়। বাজার চলতি ঔষধে এগুলো সম্পূর্ণ সারেনা, ভবিষ্যতে আবার ভয়ঙ্কর আকারে ছড়িয়ে পড়ে। চুলকিয়ে কালো কালো দাগ হয়ে যায়। চামড়া দেখতে কুৎসিত হয়ে যায়।

 

চুলকানোর ফলে চামড়ায় পিগমেন্টেশন হয়। রস বেরোয়, মামড়ি পড়ে, জীবাণু সৃষ্টি হলে ক্ষতের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। ড্রাই একজিমা হলে চামড়া মোটা হয়ে যায়, ফাটাফাটা দেখায়। বেশি চুলকালে রক্ত ঝরে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করলে সুস্থতার হার অনেক বেশি।












একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ