Ad Code

Responsive Advertisement

How to Prevent Pimples: 9 Tips To Follow (In Bengali)



রোগ সম্পর্কেঃ
প্রধানতঃ এই রোগ হয় যুবক-যুবতীদের। রোগটিকে চর্মরোগ বা চর্মের রোগও বলা যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব ছেলে মেয়েরা যৌবনে পা রাখতে যাচ্ছে তাদের এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। খুব কম লোকই আছে যাদের মুখে ব্রণ ও একবারও হয়নি। মোটামুটি 30 থেকে 35 বছরের পর মুখে ব্রণ বেরোনো সাধারণতঃ বন্ধ হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো এর ব্যতিক্রম যে হয় না তা নয় অর্থাৎ 30 থেকে 35 বছরের পর বয়সেও কারো কারো এ রোগ হতে দেখা যায়। তবে কি কারণে যৌবনের প্রারম্ভে যুবক যুবতীদের প্রধানতঃ এই রোগ হয় তার সঠিক কারণ অবশ্য এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেননি।




বিশেষ বিশেষ কারণঃ
সাধারণত 12 থেকে 24 বছর বয়সের পুরুষ ও মহিলাদের  ব্রণ নামক একটি রোগ হতে দেখা যায়। ব্রণর নির্দিষ্ট কারণ নির্ধারণ করা শক্ত। তবে, বেশিরভাগ ব্রণর বৃদ্ধির পেছনে  সিবেসিয়াস গ্রন্থিগুলির অতিরিক্ত নিঃসরণকে চিহ্নিত করা হয়। পাইলোসবেসিয়াস ইউনিটগুলি ত্বকের চুলের ফলিক্স এবং তৈলগ্রন্থির সংমিশ্রণ। হাতের তালু ও পায়ের তলা বাদে, সারা শরীর জুড়ে পিলোস্যাসেসিয়াস ইউনিটগুলি ত্বকের টিস্যুতে পাওয়া যায়। তারা শিবাম নামক তৈলাক্ত পদার্থ দ্বারা সৃষ্ট। হরমোনের গোলযোগই এই রোগের মূল কারণ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও কিছু কিছু কারণ আমরা সচরাচর দেখে থাকি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, পায়খানা পরিষ্কার না হওয়া, হজমের গোলমাল, লিভারের গন্ডগোল, অত্যধিক ঝাল মসলা খাওয়া, 




পেটের রোগে ভোগা ইত্যাদি থেকেও অনেক সময় এই রোগের উৎপত্তি হয়। অনেক চিকিৎসক এর মতে মেদময় গ্রন্থি বা সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড এর অস্বাভাবিক ক্ষরণ যা মুখাবয়বে তৈলাক্তভাব আনে তাও ব্রণ রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। এছাড়া কিছু কিছু নিম্নমানের সাবান বা প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবহারেও ব্রণ হতে পারে। তবে, অনেক রকম কারণে (যেমন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ এবং ত্বকের প্রাকৃতিক অবস্থা) তেলের গ্রন্থিগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সিবাম উত্পাদন করতে সাহায্য করে। যখন সিবাম বেশি উৎপন্ন হয়, তখন অতিরিক্ত তেল ত্বকের ছিদ্রগুলিকে প্লাগ করে। এই প্রক্রিয়াটি ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ নিয়ে আসে এবং ইমিউন সিস্টেমের বিরুদ্ধে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তোলে। এর ফলে সৃষ্টি হয় ব্রণ। ব্রণ যে কোনও ধরনের ত্বকে হতে পারে তবে বেশিরভাগ তৈলাক্ত ত্বকে বেশি হয় । তৈলাক্ত ধরণের ত্বক ব্রণর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত জায়গা। অন্যদিকে শুষ্ক ত্বক যেমন সংবেদনশীল নাও হতে পারে তবে শীতের সময় ব্রণর মারাত্মক প্রকোপ দেখা দিতে পারে।হরমোনের অস্বাভাবিক ক্ষরণ থেকে এই রোগ হয় বলে মনে করা হলো ব্রণ সৃষ্টিকারি হরমোনের সঠিক চিহ্নিতকরণ এখনো চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা নির্ধারণ করতে পারেননি। অন্যান্য কারণের মধ্যে বেশি পরিশ্রম বা ব্যায়াম, অন্ত্রের বিকার, অত্যন্ত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার ইত্যাদির উল্লেখ করা যায়।



 
বিশেষ বিশেষ লক্ষণঃ
1. মুখমন্ডল ও নাকে ফুসকুড়ি ওঠে। 
2. ওইসব ফুসকুড়ির ভেতরে চাল বা ভাতের মত এক ধরনের পদার্থ থাকে এবং ফুসকুড়ি গুলি প্রচন্ড ব্যথাযুক্ত হয়।
3. এই রোগ সাধারণতঃ 13 থেকে 14 বছর এবং 25 থেকে 26 বছর বয়সের মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
4. বীজাণু দূষণ ঘটলেই এই ব্রণ বিপদজনক হয়ে যায়। চট করে শুকাতে চায়না।
5. ব্রন শুকিয়ে গেলে গর্তের সৃষ্টি হয়।
6. অনেকদিন পর্যন্ত কালো দাগ থেকে যায় অনেক সময় বসন্তের দাগ এর মত বহুকাল তা থেকে যায়।
7. ব্রণ পাকিলে তাতে চাপ দিলে ভেতর থেকে চাল বা ভাতের মতো দেখতে বা পুঁজযুক্ত রক্ত বেরিয়ে আসে। অবশ্য কদিন পরে কোনো ইনফেকশন না থাকলে তা আপনার থেকেই শুকিয়ে যায়।
বর্তমানে, ব্রণ এখনও সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয় তবে বেশ কয়েকটি ঔষধ প্রয়োগ ও ব্রণযুক্ত ত্বকের সঠিক পরিচর্যা অবলম্বন করে এর প্রতিকার করা যেতে পারে। অনেকে টপিকাল ওষুধের সাহায্য নেন, যা ব্রণযুক্ত ত্বকের উপর প্রয়োগ করা হয়।



 তবে ব্রণর ত্বকের যত্নের পণ্যগুলি যেমন "পোর স্ট্রিপ প্যাড" ব্যবহার করে হোয়াইটহেডস এবং ব্ল্যাকহেডস নিরাময় করা যায়। তবে তারা অতিরিক্ত সিবাম সেক্রেশন এর উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। 

 তবুও, প্রতিকার এবং প্রতিরোধের জন্য, নিম্নলিখিত 9 টি সহজ টিপস গ্রহণ করা ভাল:
1. সব সময় স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
2. প্রচুর পরিমাণে তরল যেমন জল, ফলের রস বা আখের রস পান করুন। 
3.কসমেটিক্স এর ব্যবহার কমাতে হবে। 



4. মেডিকেটেড সাবান ও জল দিয়ে আপনার মুখ ধুয়ে নিন। 
5. বিভিন্ন রকমের ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে এতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কম হবে এবং ইনফেকশন কম হবে তাই ফলস্বরূপ ব্রণ অনেকাংশে কমে যাবে।
6. টপিকাল ক্লিনজিং প্যাডগুলি ব্যবহার করুন যাতে নিম্নলিখিতগুলির উপাদানগুলির একটি বা সংমিশ্রণ থাকতে পারে: অতিরিক্ত তেল সরানোর জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিড, সালফার এবং বেনজয়াইল পারক্সাইড
7.  ত্বকে অতিরিক্ত তেলের উপস্থিতি হ্রাস করার আরেকটি উপায় হ'ল  ঈষদুষ্ণ গরম জলে মুখটি ধুয়ে ফেলুন।
8. ক্ষতিগ্রস্থ চামড়ায় জোর করে স্ক্রাব করবেন না। যদি আপনার হাত নোংরা হয় তবে সেই হাত দিয়ে আপনার মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
9. যদি আপনার লম্বা চুল থাকে তবে আপনার চুলগুলি এমনভাবে বেঁধে রাখুন যাতে এটি মুখ থেকে দূরে থাকে। গ্রীষ্মকালে মুখের উপর এর প্রভাব পড়ে। ব্রণর প্রতিকারের জন্য ত্বকের যত্নের প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনরকম ইনফেকশন থাকলে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া একান্ত কাম্য।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ