-:রোগ সম্পর্কে বিশ্লেষণ:-
স্যারকপটিস স্ক্যাবিস নামক এক ধরনের ছোট ছোট ইচ মাইট দ্বারা এটি ব্যাপক পরিচিত, সংক্রামক ও ছোঁয়াচে চর্মরোগ। রোগটি শিশুদের বা বাচ্চাদের বেশি হয় ইদানিং প্রায় সব বয়সের মানুষেরই এই রোগ হতে দেখা যায়।
গবেষণায় জানা গেছে স্ত্রী কিটেরা চর্মের উপর মৃত কোষে গর্ত করে বাসা করে নিয়ে অসংখ্য ডিম পাড়ে। এইভাবে গর্ত করতে করতে এবং ডিম ছড়াতে ছড়াতে তারা শরীরের একাংশ থেকে অন্য অংশে আক্রমণ চালায়। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ওইসব ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এই বাচ্চাগুলো একসঙ্গে জমা হয়ে চামড়ায় হেয়ার ফলিকলস এ আশ্রয় নেয়।
ওই সমস্ত জায়গায় প্রচন্ড চুলকানি হয় মনে করা হয় ওই পোকা জনিত এলার্জি প্রতিক্রিয়া থেকেই এটা হয়। রোগটি ভীষণ ছোঁয়াচে খুব সহজেই এই রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। শিশুর হলে তাকে আদর করার ফলে বা কোলে নেওয়ার ফলে ও পাশে নিয়ে শোবার ফলে বাবা-মায়ের রোগ হয়। চুলকাতে চুলকাতে ঘা হয়ে যায়
-:বিশেষ বিশেষ কারণ:-
সারকপ্টিস স্ক্যাবিস নামক জীবাণু থেকে এই রোগ হয়। প্রধানত এরা পশুর চামড়ায় থাকে, তবে পশু ও মানুষ উভয়ের শরীরেই এই জীবাণু হামলা করে। তবে দুটি জীবাণুর মধ্যে জাতিগত পার্থক্য থাকে। পশুর শরীরে সংক্রমণের লক্ষণ ও মানুষের শরীরে সংক্রমণের লক্ষণ দুটো একবারে সমান ধরনের হয় না। স্ত্রী কীটগুলো পুরুষদের থেকে একটু বড় হয়।
যারা দীর্ঘদিন স্নান করেন না, দীর্ঘদিন না কাচা বা একই কাপড় পরে থাকেন, এছাড়া মধুমেহ রোগের জটিল অবস্থা বা মধুমেহ রোগের শর্করা অত্যধিক বেড়ে গিয়ে, খাওয়া-দাওয়ার এলার্জি থেকে, ওষুধের এলার্জি থেকে, এমনকি মানসিক রোগ থেকে চুলকানি হতে পারে। উত্তেজক পদার্থ দীর্ঘদিন ধরে সেবন করার ফলেও এই রোগ হতে পারে।
শরীরে ঘাম বসে গিয়ে ওই ধরনের রোগ হয়। জন্ডিস, থাইরয়েড গ্রন্থির অনিয়মিত ক্ষরনেও এ ধরনের রোগ হতে পারে।
-: বিশেষ বিশেষ কারণ :-
চুলকানি সাধারণত দু'ধরনের হয়।
1. শুকনো চুলকানি
2. রসযুক্ত চুলকানি
এই দুই ধরনের চুলকানি কমবেশি হয়ে থাকে।
এই চুলকানি রোগ আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তির কাছে করমর্দন, রোগীর ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করা ইত্যাদি থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। রসযুক্ত চুলকানিকে সাধারণত আমরা বলি পাঁচরা, এখান থেকে রস বেরোয় এবং এই রস সুস্থ জায়গায় লাগলে সেখানেও চুলকানি শুরু হয়ে যায়।
জায়গাগুলো এমন হবে সুড়সুড় করে যে না চুলকিয়ে উপায় থাকেনা। কেউ কেউ আবার এমন হবে চুলকান যে জায়গাটা ছড়ে লাল হয়ে যায়, কখনো কখনো রক্ত বেরিয়ে যায়। পেকে গেলে পুঁজ হয়, যন্ত্রণা হয়। সাধারণত মুখে বা মাথায় এই রোগ হয় না। পুঁজ নিয়ে পরীক্ষা করলে রোগের জীবাণুর হদিস পাওয়া যায়। সময়মতো চিকিৎসা করলে এই রোগ খুব সহজে নির্মূল করা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam links in message