-:রোগ সম্পর্কে বিশ্লেষণ:-
শুরুতেই বলে নেয়া ভাল রোগটি শ্বেত কুষ্ঠ বলা হলেও কুষ্ঠ রোগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি কোন জীবাণু ঘটিত বা সংক্রামক রোগ নয়। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অংশে সাদা দাগ হয়ে যায়। প্রথমে ছোট থাকলে পরে আস্তে আস্তে তা বাড়ে বা ছড়িয়ে পড়ে। মুখে এই রোগ হলে মুখশ্রী নষ্ট হয়ে যায়। কুষ্ঠের মতো শ্বেতী রোগ দ্বারা আক্রান্ত জায়গা অসাড় হয় না, ঘা হয় না, বা নোডুলও জন্মায় না, কেবল শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক চকচকে সাদা হয়ে যায়। বৈজ্ঞানিকরা এই রোগকে কুষ্ঠ তো নয় এমন কি ছোঁয়াচে রোগ বলেও মনে করেন না। ফলে সন্তানদের এই রোগ হওয়ার অবকাশ থাকে না।
পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের এই রোগ বেশি হয়। বলা বাহুল্য আজও এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা আছে। ফলে এই শ্বেতী রোগে বা সাদা দাগ যুক্ত যুবক-যুবতীদের অনেককেই আজও অবিবাহিত হয়েই থাকতে হয়। অনেকেই মনে করেন এটি ও কুষ্ঠ রোগের একটি প্রকার বা এরপর থেকে কুষ্ঠ রোগ হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি।
-:বিশেষ বিশেষ কারণ:-
এটি একটি চর্মরোগ মাত্র, এই রোগ ছড়ায় না অর্থাৎ ছোঁয়াচে নয়। সাধারণত এই রোগ হয় গরমের দেশে। দেখা গেছে ফর্সা লোকেদের চেয়ে শ্যাম বর্ণ মানুষ এই রোগের শিকার বেশি হন। শরীরের মধ্যে পারা বিষ চলে যাওয়া, ধুতি, শাড়ি, সায়া, পাজামা ইত্যাদি কোমরে কসে বাধা, কপালের সস্তা টিপ পরা, কিছু কিছু কসমেটিকস এর নিয়মিত ব্যবহার করা, জীবানুর আক্রমণ, চামড়ায় মেলানিন তৈরি না হওয়া, মেলানিনের বিকৃতি, বিরুদ্ধ আহার গ্রহণ, পুড়ে যাওয়া, কেটে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাবার থেকে এলার্জি, মিনারেলের এলার্জি, বিশেষ কোন কাপড়ের এলার্জি ইত্যাদি থেকে মানুষের শরীরে এই রোগ হয়।
অবশ্য ঠিক কি কারণে এ রোগ হয় তা আজও সঠিকভাবে জানা যায়নি। আরো যেসব কারণে এই শ্বেতী রোগ হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে তা হলো ক্রনিক পেটের রোগ, লিভারের গোলযোগ, ডায়াবেটিস ডিজিজ, মাথায় আঘাত ইত্যাদি। কেউ কেউ মনে করেন মানসিক কারণে এই রোগ হয়। খুব কম হলেও বংশগতভাবে এ রোগ হতে পারে। দেহের কোথাও কেটে গেলে, কাটা জায়গাতে পরে পিগমেন্টে পরিবর্তন ঘটতে পারে, ইদানিং বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল বা সিন্থেটিক বস্তুর সংস্পর্শে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া থেকে ত্বকের পিগমেনটেশন ঘটে, তাই রঙের বিকৃতি হতে দেখা যায়, এর থেকে শ্বেতী বা অন্যান্য চর্ম রোগ হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে রাবারের চটি, ঘরের প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার থেকেও কারো কারো হাতে বা পায়ে শ্বেতী বা অন্যান্য চর্ম রোগ হতে দেখা যায়।
-:বিশেষ বিশেষ লক্ষণ:-
প্রধানত এই রোগের লক্ষণ হলো সাদা দাগ। ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। দেহের অন্যান্য অংশে যেমন ঠোঁট, চোখের পাতা, নাক, কান, গলা ইত্যাদি জায়গায় হতে দেখা যায়। আসলে রোগটি শরীরের যে কোন স্থানে হতে পারে। রোগাক্রান্ত জায়গার চুলের রং সাদা হলদে বা লালচে হয়ে যায়। অনেক সময় রোগী পুরোপুরি সাদা হয়ে যায়, রোগীর এই সব পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। কখনো জন্ম থেকেই দেহের কোথাও কোথাও সাদা দাগ থাকতে দেখা যায়। এটি গোল, ডিম্বাকার, ছোপ ছোপ, নানা ধরনের হতে পারে।
কখনো কখনো 21 বছরে বা তার আগে বা পরে এই রোগ ধীরে ধীরে ভাল হয়ে যায়, অর্থাৎ পিগমেন্টেশনের পরিবর্তন ঘটে দেহের স্বাভাবিক রং ফিরে আসে। অবশ্য এমনটা খুব কমই হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ একবার হলে সহজে থেকে রেহাই পাওয়া যায় না, সারা জীবনই রয়ে যায়। চিকিৎসার পরও অনেক সময় এই রোগ পুনরায় হতে পারে। বলাবাহুল্য এ রোগে শরীরের উপর অর্থাৎ চামড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ভেতরের অংশ মাংসপেশি কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। ফলে এই রোগে শারীরিক কষ্ট প্রায় থাকে না বললেই চলে। পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের এই রোগ বেশি হয়। বিশেষ করে শরীরের খোলা অংশে এই রোগ হলে সমাজের সাবলীল ভাবে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। এই রোগের চিকিৎসা 12 বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় লাগতে পারে, ইদানিং ছোট অবস্থায় প্লাস্টিক সার্জারিও করা হচ্ছে।
শুরুতেই বলে নেয়া ভাল রোগটি শ্বেত কুষ্ঠ বলা হলেও কুষ্ঠ রোগের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। এটি কোন জীবাণু ঘটিত বা সংক্রামক রোগ নয়। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অংশে সাদা দাগ হয়ে যায়। প্রথমে ছোট থাকলে পরে আস্তে আস্তে তা বাড়ে বা ছড়িয়ে পড়ে। মুখে এই রোগ হলে মুখশ্রী নষ্ট হয়ে যায়। কুষ্ঠের মতো শ্বেতী রোগ দ্বারা আক্রান্ত জায়গা অসাড় হয় না, ঘা হয় না, বা নোডুলও জন্মায় না, কেবল শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক চকচকে সাদা হয়ে যায়। বৈজ্ঞানিকরা এই রোগকে কুষ্ঠ তো নয় এমন কি ছোঁয়াচে রোগ বলেও মনে করেন না। ফলে সন্তানদের এই রোগ হওয়ার অবকাশ থাকে না।
পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের এই রোগ বেশি হয়। বলা বাহুল্য আজও এই রোগ নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক ভুল ধারণা আছে। ফলে এই শ্বেতী রোগে বা সাদা দাগ যুক্ত যুবক-যুবতীদের অনেককেই আজও অবিবাহিত হয়েই থাকতে হয়। অনেকেই মনে করেন এটি ও কুষ্ঠ রোগের একটি প্রকার বা এরপর থেকে কুষ্ঠ রোগ হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি।
-:বিশেষ বিশেষ কারণ:-
এটি একটি চর্মরোগ মাত্র, এই রোগ ছড়ায় না অর্থাৎ ছোঁয়াচে নয়। সাধারণত এই রোগ হয় গরমের দেশে। দেখা গেছে ফর্সা লোকেদের চেয়ে শ্যাম বর্ণ মানুষ এই রোগের শিকার বেশি হন। শরীরের মধ্যে পারা বিষ চলে যাওয়া, ধুতি, শাড়ি, সায়া, পাজামা ইত্যাদি কোমরে কসে বাধা, কপালের সস্তা টিপ পরা, কিছু কিছু কসমেটিকস এর নিয়মিত ব্যবহার করা, জীবানুর আক্রমণ, চামড়ায় মেলানিন তৈরি না হওয়া, মেলানিনের বিকৃতি, বিরুদ্ধ আহার গ্রহণ, পুড়ে যাওয়া, কেটে যাওয়া ছাড়াও বিভিন্ন খাবার থেকে এলার্জি, মিনারেলের এলার্জি, বিশেষ কোন কাপড়ের এলার্জি ইত্যাদি থেকে মানুষের শরীরে এই রোগ হয়।
অবশ্য ঠিক কি কারণে এ রোগ হয় তা আজও সঠিকভাবে জানা যায়নি। আরো যেসব কারণে এই শ্বেতী রোগ হয় বলে অনুমান করা হচ্ছে তা হলো ক্রনিক পেটের রোগ, লিভারের গোলযোগ, ডায়াবেটিস ডিজিজ, মাথায় আঘাত ইত্যাদি। কেউ কেউ মনে করেন মানসিক কারণে এই রোগ হয়। খুব কম হলেও বংশগতভাবে এ রোগ হতে পারে। দেহের কোথাও কেটে গেলে, কাটা জায়গাতে পরে পিগমেন্টে পরিবর্তন ঘটতে পারে, ইদানিং বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল বা সিন্থেটিক বস্তুর সংস্পর্শে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া থেকে ত্বকের পিগমেনটেশন ঘটে, তাই রঙের বিকৃতি হতে দেখা যায়, এর থেকে শ্বেতী বা অন্যান্য চর্ম রোগ হতে পারে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে রাবারের চটি, ঘরের প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ইত্যাদি ব্যবহার থেকেও কারো কারো হাতে বা পায়ে শ্বেতী বা অন্যান্য চর্ম রোগ হতে দেখা যায়।
-:বিশেষ বিশেষ লক্ষণ:-
প্রধানত এই রোগের লক্ষণ হলো সাদা দাগ। ছোট থেকে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। দেহের অন্যান্য অংশে যেমন ঠোঁট, চোখের পাতা, নাক, কান, গলা ইত্যাদি জায়গায় হতে দেখা যায়। আসলে রোগটি শরীরের যে কোন স্থানে হতে পারে। রোগাক্রান্ত জায়গার চুলের রং সাদা হলদে বা লালচে হয়ে যায়। অনেক সময় রোগী পুরোপুরি সাদা হয়ে যায়, রোগীর এই সব পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। কখনো জন্ম থেকেই দেহের কোথাও কোথাও সাদা দাগ থাকতে দেখা যায়। এটি গোল, ডিম্বাকার, ছোপ ছোপ, নানা ধরনের হতে পারে।
কখনো কখনো 21 বছরে বা তার আগে বা পরে এই রোগ ধীরে ধীরে ভাল হয়ে যায়, অর্থাৎ পিগমেন্টেশনের পরিবর্তন ঘটে দেহের স্বাভাবিক রং ফিরে আসে। অবশ্য এমনটা খুব কমই হয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ একবার হলে সহজে থেকে রেহাই পাওয়া যায় না, সারা জীবনই রয়ে যায়। চিকিৎসার পরও অনেক সময় এই রোগ পুনরায় হতে পারে। বলাবাহুল্য এ রোগে শরীরের উপর অর্থাৎ চামড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ভেতরের অংশ মাংসপেশি কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। ফলে এই রোগে শারীরিক কষ্ট প্রায় থাকে না বললেই চলে। পুরুষদের চেয়ে মেয়েদের এই রোগ বেশি হয়। বিশেষ করে শরীরের খোলা অংশে এই রোগ হলে সমাজের সাবলীল ভাবে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। এই রোগের চিকিৎসা 12 বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় লাগতে পারে, ইদানিং ছোট অবস্থায় প্লাস্টিক সার্জারিও করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam links in message