- জন্ডিস রোগের বাংলা নাম পান্ডু রোগ বা কামলা রোগ। কিন্তু জনসমাজে এটি জন্ডিস রোগ নামে পরিচিত। এ রোগে শরীরের ত্বক হলুদ দেখায়। চোখ নখ হলুদ হয়ে যায়। রোগী প্রস্রাব করলেও তা হলুদ হয়ে যায়। এই রোগের যদি গোড়াতেই চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে রোগ বাড়তেই থাকে পুরো শরীরে হলুদ হলুদ দেখায়, এমনকি রোগীর ঘাম হলে সে ঘাম হলুদ হলুদ দেখায়।
-: বিশেষ বিশেষ কারণ :-
- জন্ডিস রোগের প্রধান কারণ হলো লিভার খারাপ হয়ে যাওয়া। যকৃতস্থিত নালীতে পাথর আটকে যাওয়ার পরিনাম স্বরূপ পিত্তনালীর রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে যায় অথবা ছোট হয়ে যায়। একারণে পিত্ত অন্ত্রে না গিয়ে সোজা রক্তে মিশতে শুরু করে। আর এই পিত্ত রক্তে মিশতেই শরীর, মুত্র, থুতু, ঘাম, বমি, চোখ ইত্যাদি সবই হলুদ হতে শুরু করে। এছাড়া পাচন ক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটলেও এই রোগ হতে পারে। পৌষ্টিক আহার যদি আগে থেকেই কম হতে শুরু করে, তাহলে সেই রোগীর জন্ডিস হতে পারে।
- মেয়েদের অত্যধিক ঋতুস্রাব হলে বা সন্তান প্রসবকালে অত্যধিক রক্তপাত হলে তাদের জন্ডিস হওয়ার ভয় থাকে। আবার অত্যধিক বীর্যনাশ হওয়ার ফলেও পুরুষদের এই রোগ হতে পারে।অশ্লীল চিন্তা, অশ্লীল সাহিত্য পাঠ করে পুরুষদের মধ্যে প্রবল কামেচ্ছা জাগ্রত হয় যার পরিনাম বীর্যক্ষয়। অত্যধিক বীর্যনাশ হয়ে রক্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক সময় ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড, প্যারাটাইফয়েড ইত্যাদি রোগের পর জন্ডিস হতে দেখা যায়।
- আবার মানসিক দোষ, মানসিক চাপ, রাগ, শোক, চিন্তা, উদ্বেগ এবং হৃদয় বা ফুসফুসের রোগ বা পিত্ত আধিক্য হওয়ার ফলে জন্ডিস রোগ হতে পারে।
- যকৃতের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা থেকেও জন্ডিস হয়। যেমন যকৃৎ কুঁচকে যাওয়া, যকৃত বৃদ্ধি হওয়া, যকৃতের কার্যপ্রণালীতে পরিবর্তন আসা, যকৃতের উপর চর্বির স্তর জমে যাওয়া ইত্যাদি যকৃত সম্পর্কিত নানা কারণে জন্ডিস রোগ হতে পারে। কখনো কখনো শরীরের অন্য কোনো রোগ জনিত শারীরিক পরিবর্তনে এমন দোষ উৎপন্ন হয়ে যায়, যে তার ফলে পিত্তের অংশ রক্ত থেকে আলাদা হতে ব্যর্থ হয়ে পড়ে। আর তখনই জন্ডিস রোগের প্রকোপ শুরু হয়।
- পিত্ত অত্যধিক ঘন হয়ে যাওয়ার পরেও জন্ডিস রোগ হতে দেখা গেছে। পাকাশয় অগ্নাশয় যকৃত পিত্তাশয় এর শোথ হয়ে যাওয়ার ফলে যখন, পিত্ত বাহিনীর উপর চাপ পড়ে, তখন জন্ডিস রোগ দেখা দিতে পারে। সেঁকো বিষ, ফসফরাস ইত্যাদির মতো প্রাণঘাতী বিষের প্রয়োগ, সাপে কাটা ইত্যাদির ফলে অধিক সংক্রমণেও জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পরিবেশ বা বায়ু দূষণ থেকেও জন্ডিস হতে পারে।
স্যাঁতসেঁতে ঘরে বসবাস, নোংরা অশোধিত জলপান, সূর্যের আলোর অভাব, অধিক সময় অন্ধকারে থাকা ইত্যাদি কারণে জন্ডিস হতে পারে। উপরোক্ত কারণ ও লক্ষণ সমূহ দেখে জন্ডিস রোগ চিনে নিতে হবে। জন্ডিস রোগ হয় এক ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে। এই ভাইরাস বাইরে থেকে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। এতে বেশিরভাগ বাচ্চারা ও যুবক-যুবতীরা ভোগে।
-:জন্ডিস এর ভাগ:-
রোগের ধরণ হিসাবে জন্ডিস কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়।
- 1. অবস্ট্রাক্টিভ বা কোলেস্ট্যাটিক জন্ডিস বা অবরোধ মূলক জন্ডিস।
- 2. হিমোলাইটিক জন্ডিস।
- 3. টক্সিন ও ইনফেক্টিভ জন্ডিস
- প্রধানত জন্ডিস তিন প্রকার কিন্তু এছাড়াও আছে বেশকিছু ধরনের জন্ডিস যেমন গিলবার্ট ডিজিজ, ক্রাইগলার নাজ্জার সিনড্রোম, ডুবিন জণসন ও রোটর সিনড্রোমে। সিরাম বিলিরুবিন বৃদ্ধি পেয়ে এক ধরনের ক্রনিক জন্ডিস হতে দেখা যায়।
1 অবস্ট্রাক্টিভ বা কোলেস্ট্যাটিক জন্ডিস
- এই ধরনের জন্ডিস রোগে রোগীর পিত্ত প্রবাহের বিঘ্ন বা অবরোধ ঘটে, ফলে পিত্ত ডিওডিনামে যেতে পারে না এবং ওই পিত্ত সরাসরি রক্তে মিশে এ রোগ সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য এই অবরোধ স্টাসিস লিভার এর মধ্যে হলে তাকে ইন্ট্রাহেপাটিক এবং লিভারের বাইরে হলে তাকে এক্সট্রাহেপাটিক কোলেস্ট্যাটিস বলে।
- এই রোগের লক্ষণ হলো গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব হয়, সর্বাঙ্গ হলুদ হয়ে যায়, সারা শরীরে চুলকানিও হতে পারে এমনকি মেয়েদের বুকের দুধের রঙও হলুদ হতে পারে।
2 হিমোলাইটিক জন্ডিস
- অনেকে এই ধরনের জন্ডিস কে অ্যামাইটোসিস জন্ডিস বলে। তুলনায় এই ধরনের জন্ডিস অনেক রকম হতে দেখা যায়। লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ প্রচুর পরিমাণে এবং অস্বাভাবিক ভাবে ভেঙে বিলিরুবিন অত্যধিক মাত্রায় তৈরি হয়ে এই ধরনের জন্ডিস হয়।
- ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাক ওয়াটার ফিভার, পার্নিশাস অ্যানিমিয়া ও থালাসেমিয়া ইত্যাদিতেও এই ধরনের জন্ডিস হতে দেখা যায়। এই ধরনের জন্ডিস কোন কোন পরিবারে বংশগত ভাবে দেখা যায়। জন্ম থেকেই অনেক ধরনের হিমোলাইটিক জন্ডিস হতে দেখা যায়। উল্লেখ্য হিমোলাইসিস হলে বিলিরুবিন বেশি তৈরি হয় এবং তা এতটাই বেশি হয় যে লিভারের পক্ষে তাকে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই ধরনের জন্ডিসে লিভারের কোন দোষ থাকে না এবং সেল ও ক্রিয়া যথাবৎ থাকে।
3 টক্সিক ইনফেক্টিভ জন্ডিস
- এই ধরনের জন্ডিসে লিভারের বিভিন্ন রোগে, লিভার এর প্যারেনকাইমা কোষ গুলি আক্রান্ত হয়ে, বিকৃত ও সেই সঙ্গে নষ্ট হয়ে যায়। একেই বলে টক্সিক ইনফেক্টিভ জন্ডিস। যেহেতু হেপাটোসেলুলার নষ্ট হয়ে মূলত এই জন্ডিস হয় তাই একে হেপাটোসেলুলার জন্ডিসও বলে। এই রোগটি খুবই প্রচলিত বা কমন। প্রায়ই এ ধরনের জন্ডিস হতে দেখা যায়।
- এ ধরনের জন্ডিসের লিভারের প্যারেনকাইমার প্রদাহজনক পরিবর্তন ঘটে এবং গুরুতর অবস্থায় ডিজেনারেটিভ পরিবর্তন ঘটে। লিভারের সেল ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় প্রদাহযুক্ত লিভার সেল গুলি সেই অবস্থায় ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
- জন্ডিস রোগের উপর পরিবেশের যথেষ্ট প্রভাব থাকে। সমীক্ষায় দেখা গেছে নোংরা ঘনবসতি অঞ্চলে এ রোগ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
- আবার নোংরা পুকুরের জল যদি কোন এলাকার মানুষ ব্যবহার করে সেখান থেকেও এ রোগ হতে পারে। গরমের চেয়ে ঠান্ডা বা শীতের সময় এই রোগ বেশি হয়। ভাইরাস রোগীর রক্ত বা নাকের শ্লেমার মধ্যে থাকে এখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে।
-:বিশেষ বিশেষ লক্ষণ:-
- এই রোগে রোগীর মুখের স্বাদ থাকে না, তেতো তেতো লাগে, কখনো কস কস লাগে, জিভের নোংরা জমে, ক্ষুধা কমে যায়। এই ধরনের রোগীদের সাধারণত কোষ্ঠবদ্ধতাও হতে দেখা যায়। মল বের হতে কষ্ট হয়, মল অন্ত্রে শুকিয়ে গুটলির মতো হয়ে যায়।
- আবার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকা সত্ত্বেও কখনো কখনো রোগীর পাতলা পায়খানা হয়। এ সময় রোগীর জ্বর হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর হাত পা অবশ লাগে। শরীর দুর্বল লাগে, আলস্য লাগে, রোগ পুরনো হলে হাত পা ফুলে যেতে পারে। রোগীর নাড়ির গতি স্তিমিত হয়ে যায়। চোখে, মুখেও এর প্রভাব পড়ে, কখনো শরীরে দানা বা চুলকানি হতে দেখা যায়।
- শ্বাসের গতি কমে যায়, লম্বা শ্বাস নেওয়া, রোগীর পক্ষে শ্বাস গ্রহণ কষ্টকর হয়ে পড়ে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ার জন্য অনিদ্রা, উত্তেজনা, উদ্বেগ, ভয় ইত্যাদি নানা উপসর্গ দেখা যায়। জন্ডিস রোগের প্রভাব শরীরে ধীরে ধীরে প্রকটিত হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে হঠাৎ খুব বাড়াবাড়ি হতেও দেখা যায়। শরীর সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত এই রোগে রোগীর পাচন ক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
- কেউ কেউ বলেন পাচন ক্রিয়া রোগ শুরুর আগেই দুর্বল হতে শুরু করে। ঘন ঘন পিপাসা পায়, প্রস্রাব হয় বারবার, মাথা ভার ভার লাগে, কপালে ব্যথা করে, গা গোলায়, বমি বমি ভাব থাকে, বমি হলে তাতে হলুদ রং দেখা যায়। পিত্তনালী তে অবরোধ হওয়ার জন্য, মলের রং সাদা দেখায়। পিত্তনালীর অবরোধ কেটে গেলে, মলের রং হলুদ হয়ে যায়।
- রোগের মেয়াদকাল সাধারণত 3 থেকে 5 সপ্তাহ। রোগের প্রকোপ শুরু হয় মাথা থেকে। এরপর জ্বর হয়, জ্বরের রোগীর মুখের স্বাদ চলে যায়। অরুচি আসে, বুক ধড়ফড় করে, পেট গরম হয়, জ্বালা করে, শরীরে অস্থির ভাব লেগে থাকে, কখনো লিভার ব্যাথা করে, পিত্তমেহ হলো জন্ডিস রোগের পূর্ণ লক্ষণ। মজার কথা রোগ বেড়ে গেলে উপরের উল্লেখিত অসুবিধা বা সমস্যাগুলি প্রায় সবই চলে যায়, কিন্তু প্লীহা ও লিভার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অন্তর্গত রক্তস্রাব নাড়ি, মস্তিষ্ক আবরণ, শোর, বহু তন্ত্রিকা শোধ ইত্যাদিও হতে দেখা যায়।
- জন্ডিস ক্রমশ বাড়তে থাকলে রক্তস্রাব ও সিরোসিস এর জন্যই অধিকাংশ রোগীর মৃত্যু হয়। প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণে জল খেতে হবে। তিন থেকে চার সপ্তাহ অর্থাৎ রোগ সম্পূর্ণ না সেরে যাওয়া পর্যন্ত পরিপূর্ণ বিশ্রামের দরকার। পেটে ব্যথা থাকলে গরম জলে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়। পেটের বাঁদিকে বা লিভারের জায়গায় গরম জলে সেঁক দেয়া যেতে পারে। এই রোগে মদ বা অ্যালকোহল ক্ষতিকারক। এগুলি থেকে মদ্যপায়ীঃ রোগীদের বিরত থাকতে হবে, তা না হলে এর পরিণাম অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে শরীরে পুষ্টির যোগান দিতে, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খেতে হবে।
- ইনফেক্টিভ হেপাটাইটিস হলে জল ফুটিয়ে খাওয়া ভালো। কোষ্ঠকাঠিন্য যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নেওয়া জন্ডিস রোগের পক্ষে খুবই জরুরী। চর্বিযুক্ত জিনিস যেমন মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি খাওয়া একেবারে বন্ধ রাখতে হবে। প্রয়োজনে খুব সামান্য তেলে অথবা ঘি দিয়ে রান্না করে খাবার দাবার খেতে হবে।
জন্ডিস রোগের কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
- জন্ডিস রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রথমে সাধারণত দুটি পরীক্ষা করার দরকার হয়, এ দুটি পরীক্ষা হচ্ছে সিরাম বিলিরুবিন, ইউরিন টেস্ট, ইউরিন রুটিন টেস্ট করে জন্ডিসের অবস্থান সম্পর্কে নির্ণয় করা দরকার। সাধারণ জন্ডিস হলে রোগীর বয়স বেশি না হলে, সামান্য লিভারের বৃদ্ধি ও সামান্য ব্যথা বেদনা ছাড়া অন্য কোনো কষ্ট না থাকলে, রোগী অত্যধিক মদ্যপানে অভ্যস্ত না হলে, বা সাম্প্রতিক কোন বিশেষ ওষুধ না খেয়ে থাকলে, ধরে নেয়া যেতে পারে রোগটি ভাইরাল হেপাটাইটিস বা হেপাটোসেলুলার জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- এই রোগ চিন্তা, ভয়, ক্রোধ, উদ্বেগ, উত্তেজনা, অনুশোচনা এবং টক জিনিস বেশি খাওয়ার ফলেও হতে পারে। এই রোগ রক্ত, পিত্তের বিকার উৎপন্ন হয়ে যাওয়ায় পরিনাম স্বরূপ হতে পারে। এই রোগীর শরীর, চোখ, থুতু, বমি, এমনকি ঘাম পর্যন্ত হলুদ রঙের হয়ে যায়। দূষিত ভোজন এবং জল থেকেও এই রোগ হয়। যারা দিনে বেশিরভাগ সময় শুয়ে কাটায় বা ঘুমিয়ে কাটায়, এই রোগ তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। গুরুতর অবস্থায় ত্বক ফেটে রক্ত বের হয়।
জন্ডিসের পরিণতি
- জন্ডিসের অবস্থান ও পরিণতি সম্পর্কে ধারণা করা, রোগের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান এর উপর নির্ভর করে, কম বয়সের রোগীদের ভাইরাল হেপাটাইটিস জনিত হেপাটোসেলুলার এবং ইনফেক্টিভ জন্ডিসে পথ্যের দিকে নজর দিলে ও পূর্ণ বিশ্রামে থাকলে প্রায়শই ভালো হয়ে যায়।
- কিন্তু রোগ গুরুতর হলে অর্থাৎ অনিয়ম হলে সে ক্ষেত্রে হেপাটিক কোমা এসে পরিণতি খারাপের দিকে মোড় নেয়। এছাড়া বি ভাইরাস জনিত হেপাটাইটিসে যে জন্ডিস হয়, তা প্রায়শই মারাত্মক হয়ে উঠতে দেখা যায়। এতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
- বেশি বয়সীদের দীর্ঘস্থায়ী জন্ডিস যদি লিভার, গলব্লাডার, পিত্তনালী বা প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার এর জন্য হয়, তাহলে তার পরিণতি খারাপ বলে জানবেন। হেমোলাইটিক জন্ডিসের পরিণতি ও রোগের কারণ এবং উপযুক্ত চিকিৎসার উপর নির্ভর করে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চললে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
0 মন্তব্যসমূহ
Please do not enter any spam links in message